কিয়ামত কখন হবে - Quran and Hadith

Latest

BANNER 728X90

মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৭

কিয়ামত কখন হবে





>>> কিয়ামাত কখন হবে? <<<
ﻳَﺴْﺄَﻟُﻮﻧَﻚَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﺃَﻳَّﺎﻥَ ﻣُﺮْﺳَﺎﻫَﺎ ﻓِﻴﻢَ ﺃَﻧْﺖَ ﻣِﻦْ ﺫِﻛْﺮَﺍﻫَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺭَﺑِّﻚَﻣُﻨْﺘَﻬَﺎﻫَﺎ
তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে ‘কিয়ামাত সম্পর্কে তা
কখন ঘটবে’? এর আলোচনার সাথে তোমার কি সম্পর্ক? এর
প্রকৃত জ্ঞান তোমার রবের নিকটে আছে। নাযি‘আত,
৭৯/৪২-৪৪
ﻳَﺴْﺄَﻟُﻮﻧَﻚَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﺃَﻳَّﺎﻥَ ﻣُﺮْﺳَﺎﻫَﺎ ﻗُﻞْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻋِﻠْﻤُﻬَﺎ ﻋِﻨْﺪَ ﺭَﺑِّﻲ ﻻ ﻳُﺠَﻠِّﻴﻬَﺎ ﻟِﻮَﻗْﺘِﻬَﺎ ﺇِﻻ ﻫُﻮَ
ﺛَﻘُﻠَﺖْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷﺭْﺽِ ﻻ ﺗَﺄْﺗِﻴﻜُﻢْ ﺇِﻻ ﺑَﻐْﺘَﺔً ﻳَﺴْﺄَﻟُﻮﻧَﻚَ ﻛَﺄَﻧَّﻚَ ﺣَﻔِﻲٌّ ﻋَﻨْﻬَﺎ ﻗُﻞْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ
ﻋِﻠْﻤُﻬَﺎ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﻜِﻦَّ ﺃَﻛْﺜَﺮَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻻ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করে, ‘কিয়ামাত সম্পর্কে তা
কখন ঘটবে’? তুমি বলে দাও, এর জ্ঞান তো আমার রবের
কাছে রয়েছে; কেবলমাত্র তিনিই এর নির্ধারিত সময়ে
প্রকাশ করবেন, তা আকাশসমূহ ও পৃথিবীতে এক ভয়ংকর
ঘটনা হবে, আকস্মিকভাবেই তোমাদের উপর তা এসে
পড়বে; তারা তোমাকে প্রশ্ন করছে যেন তুমি এ সম্পর্কে
বিশেষভাবে অবহিত; তুমি বলে দাও, ‘এ বিষয়ের জ্ঞান
কেবল আল্লাহর কাছে আছে, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা
বুঝে না’। আরাফ, ৭/১৮৭
ﻳَﺴْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻋَﻦِ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻗُﻞْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻋِﻠْﻤُﻬَﺎ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣَﺎ ﻳُﺪْﺭِﻳﻚَ ﻟَﻌَﻞَّ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔَ ﺗَﻜُﻮﻥُ ﻗَﺮِﻳﺒًﺎ
লোকেরা তোমাকে কিয়ামাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে,
তুমি বল, তার জ্ঞান কেবলমাত্র আল্লাহর নিকটে আছে,
আর কিসে তোমাকে জানাবে- সম্ভবত কিয়ামাত খুবই
সন্নিকটে! আহযাব, ৩৩/৬৩
ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻏَﻴْﺐُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷﺭْﺽِ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻣْﺮُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﺇِﻻ ﻛَﻠَﻤْﺢِ ﺍﻟْﺒَﺼَﺮِ ﺃَﻭْ ﻫُﻮَ ﺃَﻗْﺮَﺏُ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ
আর আসমানসমূহ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান
আল্লাহরই নিকটে আছে, আর কিয়ামতের ব্যাপারটি শুধু
চোখের পলকের ন্যায়, কিংবা ওর চেয়েও নিকটবর্তী,
নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল-নাহল,
১৬/৭৭
>>> কিয়ামাতের জ্ঞান আল্লাহর কাছেই রয়েছে <<<
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋِﻨْﺪَﻩُ ﻋِﻠْﻢُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻭَﻳُﻨَﺰِّﻝُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺚَ ﻭَﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻷﺭْﺣَﺎﻡِ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻧَﻔْﺲٌ ﻣَﺎﺫَﺍ
ﺗَﻜْﺴِﺐُ ﻏَﺪًﺍ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻧَﻔْﺲٌ ﺑِﺄَﻱِّ ﺃَﺭْﺽٍ ﺗَﻤُﻮﺕُ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ﺧَﺒِﻴﺮٌ
নিশ্চয় আল্লাহর নিকট কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে আর
তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন আর তিনি জানেন জরায়ূতে যা
আছে আর কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন
করবে এবং কেউ জানে না কোন স্থানে সে মারা যাবে;
নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত। লোকমান, ৩১/৩৪
ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻳُﺮَﺩُّ ﻋِﻠْﻢُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺨْﺮُﺝُ ﻣِﻦْ ﺛَﻤَﺮَﺍﺕٍ ﻣِﻦْ ﺃَﻛْﻤَﺎﻣِﻬَﺎ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺤْﻤِﻞُ ﻣِﻦْ ﺃُﻧْﺜَﻰ ﻭَﻻ ﺗَﻀَﻊُ
ﺇِﻻ ﺑِﻌِﻠْﻤِﻪِ
কিয়ামাতের জ্ঞান আল্লাহর কাছেই ন্যস্ত এবং তাঁর
অজ্ঞাতসারে কোন ফল আবরণ হতে বের হয় না আর কোন
নারী গর্ভধারণ করে না আর সন্তান প্রসবও করে না।
ফুসসিলাত, ৪১/৪৭
ﻭَﺗَﺒَﺎﺭَﻙَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﻪُ ﻣُﻠْﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷﺭْﺽِ ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻭَﻋِﻨْﺪَﻩُ ﻋِﻠْﻢُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺗُﺮْﺟَﻌُﻮﻥَ
আর বরকতময় তিনি, যার কর্তৃত্ব আসমান ও যমীন এবং
এদের উভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে সবকিছুতে, আর
কিয়ামতের জ্ঞান তাঁরই নিকটে আছে আর তোমরা তাঁরই
দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। যুখরুফ, ৪৩/৮৫
>>> কিয়ামাত আসবেই <<<
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔَ ﻵﺗِﻴَﺔٌ ﻻ ﺭَﻳْﺐَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻭَﻟَﻜِﻦَّ ﺃَﻛْﺜَﺮَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻻ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ
নিশ্চয় কিয়ামাত আসবেই, এতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু
অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে না। আল-মুমিন, ৪০/৫৯
ﺃَﻥَّ ﻭَﻋْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺣَﻖٌّ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔَ ﻻ ﺭَﻳْﺐَ ﻓِﻴﻬَﺎ
নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কিয়ামতের ব্যাপারে
কোন সন্দেহ নেই। আল-কাহাফ, ১৮/২১
ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷﺭْﺽَ ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﺇِﻻ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔَ ﻵﺗِﻴَﺔٌ
আর আমি আসমানসমূহ ও যমীন এবং এ দুয়ের মধ্যে যা কিছু
আছে, তা যথার্থতা ছাড়া সৃষ্টি করিনি আর নিশ্চয়
কিয়ামাত আসবেই। আল-হিজর, ১৫/৮৫
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔَ ﺁﺗِﻴَﺔٌ ﺃَﻛَﺎﺩُ ﺃُﺧْﻔِﻴﻬَﺎ ﻟِﺘُﺠْﺰَﻯ ﻛُﻞُّ ﻧَﻔْﺲٍ ﺑِﻤَﺎ ﺗَﺴْﻌَﻰ
নিশ্চয় কিয়ামাত আসবেই; আমি তা গোপন রাখতে চাই
যাতে প্রত্যেকেই নিজ কর্মানুযায়ী ফল লাভ করতে
পারে। ত্বাহা, ২০/১৫
ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔَ ﺁﺗِﻴَﺔٌ ﻻ ﺭَﻳْﺐَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺒْﻌَﺚُ ﻣَﻦْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻘُﺒُﻮﺭِ
আর নিশ্চয় কিয়ামাত আসবেই, এতে কোন সন্দেহ নেই
এবং যারা কবরে আছে আল্লাহ তাদের অবশ্যই পুনরুত্থিত
করবেন। আল-হাজ্জ, ২২/৭
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺭَﺑَّﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺯَﻟْﺰَﻟَﺔَ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﺷَﻲْﺀٌ ﻋَﻈِﻴﻢٌ
হে মানবসকল! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, নিশ্চয়
কেয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ঙ্কর ব্যাপার। আল-হাজ্জ,
২২/১
ﺑَﻞِ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﻣَﻮْﻋِﺪُﻫُﻢْ ﻭَﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﺃَﺩْﻫَﻰ ﻭَﺃَﻣَﺮُّ
বরং কিয়ামাত হল তাদেরকে দেয়া নির্ধারিত সময় এবং
কিয়ামাত অতি ভয়ঙ্কর ও তিক্ততর। আল-কামার, ৫৪/৪৬
ﻗُﻞْ ﻟَﻜُﻢْ ﻣِﻴﻌَﺎﺩُ ﻳَﻮْﻡٍ ﻻ ﺗَﺴْﺘَﺄْﺧِﺮُﻭﻥَ ﻋَﻨْﻪُ ﺳَﺎﻋَﺔً ﻭَﻻ ﺗَﺴْﺘَﻘْﺪِﻣُﻮﻥَ
তুমি বল, তোমাদের জন্য আছে এক নির্ধারিত সময় যা
মুহুর্তকাল বিলম্বিত করতে পারবে না, ত্বরান্বিতও করতে
পারবে না। সাবা, ৩৪/৩০
>>> কিয়ামাত অকস্মাৎ এসে যাবে <<<
ﻫَﻞْ ﻳَﻨْﻈُﺮُﻭﻥَ ﺇِﻻ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔَ ﺃَﻥْ ﺗَﺄْﺗِﻴَﻬُﻢْ ﺑَﻐْﺘَﺔً ﻭَﻫُﻢْ ﻻ ﻳَﺸْﻌُﺮُﻭﻥَ
তারা কি তাদের উপর কিয়ামাত অকস্মাৎ আসার
অপেক্ষা করছে আর তারা টেরও পাবে না? আয-যুখরুফ,
৪৩/৬৬
ﺃَﻓَﺄَﻣِﻨُﻮﺍ ﺃَﻥْ ﺗَﺄْﺗِﻴَﻬُﻢْ ﻏَﺎﺷِﻴَﺔٌ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻭْ ﺗَﺄْﺗِﻴَﻬُﻢُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﺑَﻐْﺘَﺔً ﻭَﻫُﻢْ ﻻ ﻳَﺸْﻌُﺮُﻭﻥَ
তবে কি তারা নিরাপদ হয়েছে যে, তাদের উপর আল্লাহর
পক্ষ থেকে কোন সর্বগ্রাসী আযাব আসবে না অথবা
তাদের উপর অকস্মাৎ কিয়ামাত উপস্থিত হবে না আর
তারা টেরও পাবে না? ইউসুফ, ১২/১০৭
ﻭَﻻ ﻳَﺰَﺍﻝُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻓِﻲ ﻣِﺮْﻳَﺔٍ ﻣِﻨْﻪُ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﺄْﺗِﻴَﻬُﻢُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﺑَﻐْﺘَﺔً ﺃَﻭْ ﻳَﺄْﺗِﻴَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏُ ﻳَﻮْﻡٍ
ﻋَﻘِﻴﻢٍ
যারা কুফরী করেছে তারা তাতে সন্দেহ পোষণ করা হতে
বিরত হবে না, যতক্ষণ না তাদের নিকট কিয়ামাত এসে
পড়বে আকস্মিকভাবে, অথবা এসে পড়বে ঐ দিনের
শাস্তি যা থেকে রক্ষা পাবার উপায় নেই। আল-হাজ্জ,
২২/৫৫
>>> কিয়ামতে লক্ষণসমুহ এসে গেছে <<<
ﻓَﻬَﻞْ ﻳَﻨْﻈُﺮُﻭﻥَ ﺇِﻻ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔَ ﺃَﻥْ ﺗَﺄْﺗِﻴَﻬُﻢْ ﺑَﻐْﺘَﺔً ﻓَﻘَﺪْ ﺟَﺎﺀَ ﺃَﺷْﺮَﺍﻃُﻬَﺎ ﻓَﺄَﻧَّﻰ ﻟَﻬُﻢْ ﺇِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀَﺗْﻬُﻢْ
ﺫِﻛْﺮَﺍﻫُﻢْ
তারা কি শুধু এ জন্য অপেক্ষা করছে যে, কিয়ামাত
তাদের নিকট আকস্মিক ভাবে এসে পড়ূক? কিয়ামাতের
লক্ষণসমূহতো এসেই পড়েছে! কাজেই কিয়ামাত এসে
পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে? মুহাম্মদ,
৪৭/১৮
ﺍﻗْﺘَﺮَﺑَﺖِ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﻭَﺍﻧْﺸَﻖَّ ﺍﻟْﻘَﻤَﺮُ
কিয়ামাত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চাঁদ বিদীর্ণ হয়েছে।
আল-কামার, ৫৪/১
ﻭَﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﻌِﻠْﻢٌ ﻟِﻠﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻓَﻼ ﺗَﻤْﺘَﺮُﻥَّ ﺑِﻬَﺎ
আর নিশ্চয় সে (ঈসার দুনিয়াতে পুনরায় আগমন) হবে
কিয়ামতের এক সুনিশ্চিত আলামত; সুতরাং তোমরা
কিয়ামাত সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করো না। আয-যুখরুফ,
৪৩/৬১
>>> কিয়ামাত সম্পর্কে অবিশ্বাসীদের ধারণা <<<
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻗِﻴﻞَ ﺇِﻥَّ ﻭَﻋْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺣَﻖٌّ ﻭَﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﻻ ﺭَﻳْﺐَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻗُﻠْﺘُﻢْ ﻣَﺎ ﻧَﺪْﺭِﻱ ﻣَﺎ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﺇِﻥْ ﻧَﻈُﻦُّ
ﺇِﻻ ﻇَﻨًّﺎ ﻭَﻣَﺎ ﻧَﺤْﻦُ ﺑِﻤُﺴْﺘَﻴْﻘِﻨِﻲﻥَ
যখন বলা হয়, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য এবং কিয়ামাত -
এতে কোন সন্দেহ নেই, তখন তোমরা বলে থাক, আমরা
জানি না কিয়ামাত কি? আমরা কেবল অনুমান করি এবং
আমরা তো দৃঢ় বিশ্বাসী নই। আল-জাসিয়াহ, ৪৫/৩২
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻻ ﺗَﺄْﺗِﻴﻨَﺎ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﻗُﻞْ ﺑَﻠَﻰ ﻭَﺭَﺑِّﻲ ﻟَﺘَﺄْﺗِﻴَﻨَّﻚُﻡْ ﻋَﺎﻟِﻢِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻻ ﻳَﻌْﺰُﺏُ
ﻋَﻨْﻪُ ﻣِﺜْﻘَﺎﻝُ ﺫَﺭَّﺓٍ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﻻ ﻓِﻲ ﺍﻷﺭْﺽِ ﻭَﻻ ﺃَﺻْﻐَﺮُ ﻣِﻦْ ﺫَﻟِﻚَ ﻭَﻻ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﺇِﻻ ﻓِﻲ
ﻛِﺘَﺎﺏٍ ﻣُﺒِﻴﻦٍ
আর কাফিররা বলে, ‘কিয়ামাত আমাদের কাছে আসবে
না।’ তুমি বল, ‘অবশ্যই আসবে, আমার রবের কসম! তা
তোমাদের কাছে আসবেই; তিনি অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক
পরিজ্ঞাত; আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে তাঁর অগোচর নয়
অণু পরিমাণ কিছু কিংবা তদপেক্ষা ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ কিছু;
বরং তার প্রত্যেকটি লিপিবদ্ধ আছে সুস্পষ্ট কিতাবে।
সাবা, ৩৪/৩
ﻭَﻣَﺎ ﻳُﺪْﺭِﻳﻚَ ﻟَﻌَﻞَّ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔَ ﻗَﺮِﻳﺐٌ ﻳَﺴْﺘَﻌْﺠِﻞُ ﺑِﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻻ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺑِﻬَﺎ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ
ﻣُﺸْﻔِﻘُﻮﻥَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻭَﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﺃَﻧَّﻬَﺎ ﺍﻟْﺤَﻖُّ ﺃَﻻ ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﻤَﺎﺭُﻭﻥَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻟَﻔِﻲ ﺿَﻼﻝٍ ﺑَﻌِﻴﺪٍ
আর কিসে তোমাকে জানাবে- সম্ভবত কিয়ামাত খুবই
সন্নিকটে! যারা একে বিশ্বাস করে না তারাই এটা
ত্বরান্বিত করতে চায় আর যারা বিশ্বাসী তারা একে ভয়
করে এবং তারা জানে যে তা সত্য; জেনে রেখ,
কিয়ামাত সম্পর্কে যারা সন্দেহ পোষণ করে তারা ঘোর
বিভ্রান্তিতে রয়েছে। আশ-শুরা, ৪২/১৭-১৮
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺨْﺸَﻮْﻥَ ﺭَﺑَّﻬُﻢْ ﺑِﺎﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﻫُﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻣُﺸْﻔِﻘُﻮﻥَ
যারা না দেখেও তাদের রবকে ভয় করে এবং কিয়ামাত
সম্পর্কে ভীতসন্ত্রস্ত। আম্বিয়া, ২১/৪৯
ﻗُﻞْ ﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻓِﻲ ﺍﻟﻀَّﻼﻟَﺔِ ﻓَﻠْﻴَﻤْﺪُﺩْ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦُ ﻣَﺪًّﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﺭَﺃَﻭْﺍ ﻣَﺎ ﻳُﻮﻋَﺪُﻭﻥَ ﺇِﻣَّﺎ
ﺍﻟْﻌَﺬَﺍﺏَ ﻭَﺇِﻣَّﺎ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔَ ﻓَﺴَﻴَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﻣَﻦْ ﻫُﻮَ ﺷَﺮٌّ ﻣَﻜَﺎﻧًﺎ ﻭَﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺟُﻨْﺪًﺍ
তুমি বলঃ যারা বিভ্রান্তিতে আছে, দয়াময় তাদেরকে
প্রচুর অবকাশ দিবেন যতক্ষণ না তারা, যে বিষয়ে
তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে তা প্রত্যক্ষ করবে, তা শাস্তি
হোক অথবা কিয়ামাতই হোক; অতঃপর তারা জানতে
পারবে কে মর্যাদায় নিকৃষ্ট এবং কে দলবলে দুর্বল।
মারইয়াম, ১৯/৭৫
ﺑَﻞْ ﻛَﺬَّﺑُﻮﺍ ﺑِﺎﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻭَﺃَﻋْﺘَﺪْﻧَﺎ ﻟِﻤَﻦْ ﻛَﺬَّﺏَ ﺑِﺎﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﺳَﻌِﻴﺮًﺍ
আসলে তারা কিয়ামাতকে মিথ্যা ভাবছে আর যারা
কিয়ামাতকে মিথ্যারোপ করে তাদের জন্য আমি প্রস্ত্তত
করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুন। আল-ফুরকান, ২৫/১১
>>> কিয়ামাত সংঘটিত হলে কি হবে? <<<
ﻭَﻟِﻠَّﻪِ ﻣُﻠْﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷﺭْﺽِ ﻭَﻳَﻮْﻡَ ﺗَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﻳَﻮْﻣَﺌِﺬٍ ﻳَﺨْﺴَﺮُ ﺍﻟْﻤُﺒْﻄِﻠُﻮﻥَ
আর আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই এবং
যেদিন কিয়ামাত সংঘটিত হবে সেদিন মিথ্যাশ্রয়ীরা
হবে ক্ষতিগ্রস্ত। আল-জাসিয়াহ, ৪৫/২৭
ﻭَﻳَﻮْﻡَ ﺗَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﻳُﺒْﻠِﺲُ ﺍﻟْﻤُﺠْﺮِﻣُﻮﻥَ
আর যেদিন কিয়ামাত সংঘটিত হবে সেদিন অপরাধীরা
হতাশ হয়ে পড়বে। আর-রূম, ৩০/১২
ﻭَﻳَﻮْﻡَ ﺗَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﻳَﻮْﻣَﺌِﺬٍ ﻳَﺘَﻔَﺮَّﻗُﻮﻥَ
যেদিন কিয়ামাত সংঘটিত হবে সেদিন মানুষ বিভক্ত হয়ে
পড়বে। আর-রূম, ৩০/১৪
ﻭَﻳَﻮْﻡَ ﺗَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﻳُﻘْﺴِﻢُ ﺍﻟْﻤُﺠْﺮِﻣُﻮﻥَ ﻣَﺎ ﻟَﺒِﺜُﻮﺍ ﻏَﻴْﺮَ ﺳَﺎﻋَﺔٍ ﻛَﺬَﻟِﻚَ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳُﺆْﻓَﻜُﻮﻥَ
আর যেদিন কিয়ামাত সংঘটিত হবে সেদিন অপরাধীরা
কসম করে বলবে যে, তারা মুহূর্তকালের বেশী অবস্থান
করেনি; এভাবেই তারা সত্যবিমুখ থেকেছে। আর-রূম,
৩০/৫৫
ﻭَﻳَﻮْﻡَ ﻳَﺤْﺸُﺮُﻫُﻢْ ﻛَﺄَﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﻠْﺒَﺜُﻮﺍ ﺇِﻻ ﺳَﺎﻋَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﻬَﺎﺭِ ﻳَﺘَﻌَﺎﺭَﻓُﻮﻥَ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻗَﺪْ ﺧَﺴِﺮَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ
ﻛَﺬَّﺑُﻮﺍ ﺑِﻠِﻘَﺎﺀِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻣُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ
আর যেদিন তাদেরকে একত্রিত করা হবে (সেদিন তারা
মনে করবে), যেন তারা পূর্ণ দিনের মুহুর্তকাল মাত্র
অবস্থান করেছিল; এবং তারা একে অপরকে চিনতে
পারবে, তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা আল্লাহর
সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে, আর তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত
ছিল না। ইউনুস, ১০/৪৫
ﻗَﺪْ ﺧَﺴِﺮَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﺬَّﺑُﻮﺍ ﺑِﻠِﻘَﺎﺀِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀَﺗْﻬُﻢُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﺑَﻐْﺘَﺔً ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻳَﺎ ﺣَﺴْﺮَﺗَﻨَﺎ ﻋَﻠَﻰ
ﻣَﺎ ﻓَﺮَّﻃْﻨَﺎ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﻳَﺤْﻤِﻠُﻮﻥَ ﺃَﻭْﺯَﺍﺭَﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﻇُﻬُﻮﺭِﻫِﻢْ ﺃَﻻ ﺳَﺎﺀَ ﻣَﺎ ﻳَﺰِﺭُﻭﻥَ
যারা আল্লাহর সাক্ষাৎকে মিথ্যা মনে করেছে অবশ্যই
তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যখন কিয়ামাত তাদের কাছে
অকস্মাৎ এসে যাবে, তারা বলবে, হায় আফসোস! এর
ব্যাপারে আমরা কতই না ক্রটি করেছি এবং তারা
তাদের পাপসমূহ তাদের পিঠে বহন করবে; সাবধান! তারা
যা বহন করবে তা কত নিকৃষ্ট! আনআম, ৬/৩১
ﺍﻟﻨَّﺎﺭُ ﻳُﻌْﺮَﺿُﻮﻥَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻏُﺪُﻭًّﺍ ﻭَﻋَﺸِﻴًّﺎ ﻭَﻳَﻮْﻡَ ﺗَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﺃَﺩْﺧِﻠُﻮﺍ ﺁﻝَ ﻓِﺮْﻋَﻮْﻥَ ﺃَﺷَﺪَّ ﺍﻟْﻌَﺬَﺍﺏِ
সকাল-সন্ধ্যায় তাদেরকে উপস্থিত করা হয় আগুনের
সম্মুখে এবং যেদিন কিয়ামাত সংঘটিত হবে সেদিন বলা
হবেঃ ফির‘আউন সম্প্রদায়কে নিক্ষেপ কর কঠিনতম
শাস্তিতে। আল-মুমিন, ৪০/৪৬
ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀَﺕِ ﺍﻟﻄَّﺎﻣَّﺔُ ﺍﻟْﻜُﺒْﺮَﻯ ﻳَﻮْﻡَ ﻳَﺘَﺬَﻛَّﺮُ ﺍﻹﻧْﺴَﺎﻥُ ﻣَﺎ ﺳَﻌَﻰ ﻭَﺑُﺮِّﺯَﺕِ ﺍﻟْﺠَﺤِﻴﻢُ ﻟِﻤَﻦْ ﻳَﺮَﻯ
ﻓَﺄَﻣَّﺎ ﻣَﻦْ ﻃَﻐَﻰ ﻭَﺁﺛَﺮَ ﺍﻟْﺤَﻴَﺎﺓَ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟْﺠَﺤِﻴﻢَ ﻫِﻲَ ﺍﻟْﻤَﺄْﻭَﻯ ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﻣَﻦْ ﺧَﺎﻑَ ﻣَﻘَﺎﻡَ ﺭَﺑِّﻪِ
ﻭَﻧَﻬَﻰ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲَ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﻬَﻮَﻯ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻫِﻲَ ﺍﻟْﻤَﺄْﻭَﻯ
অতঃপর যখন মহা বিপর্য্য় (কিয়ামাত) উপস্থিত হবে,
সেদিন মানুষ যা করেছে তা স্মরণ করবে, আর
জাহান্নামকে প্রকাশ করা হবে যে দেখবে তার জন্য।
অতঃপর যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে, আর দুনিয়ার
জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, নিশ্চয় জাহান্নাম হবে
তার আবাসস্থল। পক্ষান্তরে যে তার রবের সামনে
দাঁড়াতে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী (প্রবৃত্তি) হতে
নিজেকে বিরত রেখেছে তবে অবশ্যই জান্নাত হবে তার
আবাসস্থল। আন-নাযি’আত, ৭৯/৩৪-৪১

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন